রাজস্ব ভবন-১ এবং রাজস্ব ভবন-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণকাজ চালানো হবে। ‘এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি,’ ইউএনবিকে বলেন এনবিআরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।
আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, নিজস্ব ভবনের অভাবে প্রায়ই এনবিআর ও তাদের বিভাগ- কর, মূসক ও শুল্কের কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। ‘আমরা সরকারের মূল রাজস্ব আহরণকারী। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে নিজস্ব জমিতে আমাদের নিজস্ব ভবন নেই।’
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে গত নভেম্বর মাসের এক বৈঠকে বলা হয়, রাজস্ব ভবন-১ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি কোম্পানি দরপত্র জমা দিয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) রেজাউল হাসান বৈঠকে জানান, শুল্ক ও মূসকের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণ করতে প্রকল্প পরিচালককে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ে অফিস নির্মাণে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহী ভ্যাট অনলাইন।
যেসব জেলায় এনবিআরের জমি রয়েছে সেখানে ডিপিপি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে। সেই সাথে যেসব জেলায় জমি নেই সেখানে সমন্বিত প্রকল্প নিতে কর ও মূলক শাখাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এসব কাজে সহযোগিতা দেবে ভ্যাট অনলাইন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে ডিপিপি পাঠাতে বলা হয়েছে।
এনবিআরের সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ তারা দিচ্ছেন। ‘আমাদের সম্প্রসারণের অন্যতম কারণ হলো অধিক মানুষকে কর জালের আওতায় নিয়ে আসা।’
সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে এনবিআরকে যোগান দিতে হবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা।