রাজাকারের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার খেতাব দেওয়া হবে না। এটা হতে পারে না… এটা অসম্ভব… অন্তত আমার সময় না।
বুধবার সন্ধ্যায় সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধের নাম থাকার ব্যাপারে ওই সব পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিষয়টি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে যারা কষ্ট পেয়েছেন, দুঃখ পেয়েছেন তাদেরকে বলব- শান্ত হোন এবং বিষয়টি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখুন… তাদের (মুক্তিযোদ্ধারা) নাম রাজাকারের তালিকায় থাকতে পারে না… তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, বিজয় দিবসের আগের দিন গত রবিবার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের রাজাকারের তালিকায় নাম আসায় ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে প্রকাশের তিন দিনের মাথায় বুধবার সন্ধ্যায় ওই তালিকা স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই না করে ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের পরে এ তালিকা প্রকাশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজয় দিবসের আগে তাড়াতাড়ি করে তারা তা প্রকাশ করেছে।
‘এটি (তালিকা) কোনোভাবেই রাজাকারদের তালিকা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রাজাকার, আলবদর ও আল-শামসের পৃথক তালিকা রয়েছে যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।