শুক্রবার সকালে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় হাজী ওয়াহেদ ম্যানসন পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, ‘হাজী ওয়াহেদ ম্যানসন’ ভবনে নিশ্চিতভাবেই রাসায়নিক পদার্থ ছিল। সেই সঙ্গে ওই ভবনে কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘এই ভবনে যে পাউডার পাওয়া গেছে, সেগুলো রাসায়নিক পদার্থ ছিল। এখানে যেসব প্লাস্টিকের বোতল পাওয়া গেছে, সেগুলোও রাসায়নিক পদার্থে ভর্তি ছিল। যিনি বলেছেন এখানে কোনো রাসায়নিক ছিল না, সে কথাটি সত্য নয়।’
শুক্রবার সকালে ডিএসসিসি গঠিত ১০ সদস্যের তদন্ত দল চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ডিএসসিসি’র তদন্ত দলে রয়েছেন- ডিএসসিসি প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী ও অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান, ডিএসসিসি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও মো. জাফর আহমেদ, ডিএসসিসি’র প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক মো. শাহ আলম ও অথরাইজড অফিসার মো. নুরুজ্জামান জহির।
পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টা এলাকায় বুধবার রাতে রাসায়নিকের গুদাম ও পাশের চার ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৬৭ ব্যক্তি নিহত এবং প্রায় ৪১ জন গুরুতর আহত হন।