শনিবার বিকাল ৩টায় রিফাতকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জবানবন্দি নেয়া শেষ হয়।
এনিয়ে, হত্যার দায় স্বীকার করে এখন পর্যন্ত ১৪ আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, রিফাত ফরাজীকে তৃতীয় মেয়াদের সাত দিনের রিমান্ডের ষষ্ঠ দিনে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সংবাদকর্মীদের কাছে দাবি করেন, মিন্নিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জবানবন্দি দেয়ার জন্য পুলিশ বাধ্য করেছে।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি রিফাত ফরাজীকে ৩ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রথম দফার রিমান্ড শেষে তাকে পুনরায় আদালতে হাজির করা হলে বিচারক দ্বিতীয়বারের মতো সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তৃতীয় দফায়ও তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।
এদিকে, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আইনগত সহায়তা দিতে আইন ও শালিস কেন্দ্রের (আসক) সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবিরের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল শনিবার বরগুনায় পৌঁছেছেন। তারা ইতিমধ্যে মিন্নির পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।