বুধবার গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া, বিষয়টি তদন্তে রবিবার দুটি কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
ওই দিন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিল বন্ধ রাখার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিন সিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিস ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর বালিশটি নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে ৭৬০ টাকা খরচ উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে ওঠাতে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা। সেই সাথে নথিপত্রে দেখা যায়, প্রকল্পের সব পদেই অস্বাভাবিক বেতন-ভাতা ধরা হয়েছে।