বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি।
এসময় তারা সংসদীয় কার্যক্রম, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, ত্রাণ সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অ্যানম্যারি হুবার হটজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে রেডক্রসের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে রেডক্রস সম্পৃক্ত।
স্বল্প সময়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রের উন্নয়ন তাকে মুগ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা নারী, যা দেশটিতে নারী ক্ষমতায়নের পরিচয় বহন করে।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ এখন সামাজিক-অর্থনৈতিক সকল সূচকে শক্ত ভিতের ওপর অবস্থান করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বে আজ রোল মডেল। দশম জাতীয় সংসদে ৭৩ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন, যার মধ্যে ২৩ জন সংসদ সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, কমিটিতে মন্ত্রী একজন সদস্য এবং কমিটির সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীসহ সদস্যগণও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার জন্য রেডক্রসকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাদের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে রেডক্রসকে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার নিজস্ব তহবিল গঠনসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
এ সময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত উপস্থিত ছিলেন। পরে সুইস রেডক্রস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট সংসদ ভবন পরিদর্শন করেন।