বৃহস্পতিবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৯তম অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘যদিও এই সিদ্ধান্ত সুনির্দিষ্টভাবে গণহত্যার অপরাধের বিষয়টি উল্লেখ করেনি, তারপরও যে অপরাধ হয়েছে তার জন্য জবাবদিহির সত্যিকারের আশা দেখিয়েছে।’
ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইসিসিকে সমর্থন দেয়া অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘আমি সব দেশকে এই আদালতকে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানাই। এবছর আমরা রোম সনদ অনুযায়ী আদালতটি প্রতিষ্ঠার ২০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি। এ জন্য আমি বাকি সব দেশগুলোকে সনদে স্বাক্ষর বা অনুসমর্থন দেয়ার আহ্বান জানাই,’ যোগ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান।
মিশেল বাশেলেতের মতে, গণহত্যা সবসময়ই অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কিন্তু এটি কখনো পরিষ্কার ও একাধিক সতর্ক সংকেত দেয়া ছাড়া সংগঠিত হয় না। যার মধ্যে রয়েছে- একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একই ধরনের নির্যাতন চালানো, ক্ষতি করার ইচ্ছা, নির্যাতনকারীদের মধ্যে ‘চেইন অব কমান্ড’ থাকা এবং সর্বশেষ নিষ্ঠুর ও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটানো।
রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে সতর্ক সংকেতগুলো ছিল- একটি গোষ্ঠীর মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নির্যাতিত হয়েছে, জবাবদিহিবিহীন একটি সেনাবাহিনী রয়েছে, পরিকল্পিত নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং নাগরিকত্ব না দেয়াসহ রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে যা কয়েক দশক ধরে শাস্তি পায়নি, বলেন তিনি।
বাশেলেত আরো বলেন, অপরাধীদের বিচারের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের। কিন্তু যেখানে রাষ্ট্র বিচার করতে চায় না বা অক্ষম সেখানে আইসিসির ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে উপযুক্ত।
‘আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রি-ট্রায়াল চেম্বারের গত সপ্তাহে নেয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তারা দেখেছে যে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন এবং সম্ভাব্য অন্যান্য অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আদালতের রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।