কক্সবাজারে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা জানান, উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিক্ষাকে দিতে হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং সব পর্যায়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
কোস্ট ট্রাস্ট ও ইউএনএইচসিআর ‘প্রত্যাবাসনের আগ পর্যন্ত উন্নততর রোহিঙ্গা কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ এবং কক্সবাজারের উন্নয়ন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।
কোস্ট ট্রাস্টের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরামের আবু মোর্শেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আব্দুস সালাম।
অতিথি হিসেবে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের ব্যারিস্টার মনুজর মোরশেদ, নারী পক্ষের শিরীন হক, দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ আব্দুল লতিফ খান, দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেখক গওহর নইম ওয়ারা, আইওএম’র কক্সবাজার প্রধান ম্যানুয়েল মনিজ পেরেইরা, ইউএনএইচসিআর’র সিনিয়ন অপাররেশন ম্যানেজার হিনাকো টকি, ক্যাম্প ইনচার্জ আবু জাফর মো. ওবায়দুল্লাহ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক সেলের সহকারী কমিশনার জিন্নাত শহীদ পিংকি।
কেএম আব্দুস সালাম বলেন, রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়নে এনজিও ব্যুরো সমন্বয় নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। তহবিলের একটি অংশ যেন স্থানীয় এলাকার জন্য নির্ধারিত থাকে সেই বিবেচনা করা হবে এবং এনজিওদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাও জরুরি।
হিনাকো টকি বলেন, ইউএনএইচসিআর স্থানীয় এলাকায় প্রায় ৮০টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং অনেক অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে। ৬ হাজার নারীর জীবিকা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ইউএনএইচআরসি।
আব্দুল লতিফ খান বলেন, আলাদা আলাদাভাবে ঝুঁকি বা সমস্যা চিহ্নিত না করে সবাই মিলে কক্সবাজারের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে সেই মোতাবেক কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। ত্রাণ কর্মীর আবাস এবং সব সংস্থার কার্যালয় হওয়া উচিৎ ক্যাম্প এলাকার আশপাশে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে বিমানবন্দর, অত্যাধুনিক রেললাইন, বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও আশ্রয়ন প্রকল্পসহ ৯টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ মেগা প্রকল্পগুলোতে যেন কোনো বাধা না আসে সেটা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারকে সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত রাখার সব চেষ্টা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও এবং জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি ও ৬টি ক্যাম্পের ইনচার্জও অংশগ্রহণ করেন।