সেই সাথে বাংলাদেশ মিয়ানমারকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে দেশটিকে এ কাজ প্রত্যাবাসন বিষয়ে হওয়া দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আদর্শ ও বিধান এবং রাখাইন রাজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশের আলোকে করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সর্বশেষ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের এ বার্তা তুলে ধরেন।
উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হওয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য পরিবেশ অনুকূল করতে এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যাপকভাবে যুক্ত করার বিষয়টি মিয়ানমারকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।
‘মিয়ানমারের দায়িত্ব হলো চূড়ান্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত তথ্য প্রচারসহ যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের আস্থার ঘাটতি হ্রাস করা,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ৩০ হাজারের অধিক মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বর্বর অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ মুসলিম সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তি সই করে। পরে দুই দেশ ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামে চুক্তি করে। ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে অগ্রগতি খুবই সামান্য।