খুব শিগগিরই কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে প্রত্যাবাসিত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গাজিরহাটে প্রণব মঠের অতিথি ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রিংলা বলেন, ভারত ১৯৭১ সালে এক কোটি বাঙালিকে যেমন আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছিল এবার বাংলাদেশ ঠিক একইভাবে ১১ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গাকে তার দেশে আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে ভারতের যেমন সহযোগিতা থাকবে তেমনি অন্যান্য দেশেরও উচিত বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়া।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় এ ধরনের নির্যাতিতদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
ভারত সুসময় ও দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে আছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, এখন দুদেশের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সম্পর্ক বিরাজ করছে।
শ্রিংলা আরও বলেন, ভারত সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘দুদেশ এখন সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় পার করছে’। এই সম্পর্কের আরও অনেক উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় দূত বলেন, তারা এতে খুব খুশি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার, আমি নিজেও তা দেখেছি। এদেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করছে।’
হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় সেনারা মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিতে পেরে গর্বিত মনে করে।
তিনি আরও জানান, বন্ধু দেশ বাংলাদেশে ভারত সরকারের দেয়া ৩৫০ কোটি টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও সংস্কারে কাজ চলছে।