তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এক বৈঠকে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কক্সবাজারে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে।
ব্যাপক সংখ্যক রোহিঙ্গাদের উপস্থিতিতে সৃষ্ট সমস্যাগুলো মানবিক বিবেচনায় স্থানীয়রা মেনে নিয়েছে, যোগ করেন তিনি।
গত সাধারণ নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ জয়ে এবং চতু্র্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ায় রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নতির প্রশংসা করে ভাসকুনলাতি বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই।
এছাড়া বাংলাদেশের শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন ফিনিশ রাষ্ট্রদূত।
এসময় অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফিনল্যান্ডে পড়াশোনা করছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দু’দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভাসকুনলাতি বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যেকার আলোচনা আগামী মে-তে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশে উচ্চমান সম্পন্ন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য তৈরি হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিনল্যান্ড এখান থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে।
সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য দেশের উন্নয়ন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান অর্থবছরেই ৮.১ শতাংশ জিডিপির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
‘আমাদের এ অগ্রগতির ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মাদ জয়নুল আবেদিন এবং ফিনল্যান্ডের অনারারি কনস্যুল জেনারেল আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।