নিহতরা হলেন- অটোরিকশার যাত্রী শাহ আলম ও তার শিশু পুত্র অমিত হোসেন, সামছুন নাহার ও তার দুই মেয়ে নাছিমা আক্তার, রোকেয়া বেগম এবং মেয়ের জামাতা রুবেল হোসেন ও অটোরিকশা চালক নূর হোসেন।
একই পরিবারের নিহত ছয়জন সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের সাদারঘর ও অটোরিকশা চালক নুর হোসেন একই উপজেলার নেয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে সবাই নিহত হন।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, উদ্ধারকারী রেকার আসতে দেরি এবং উদ্ধার কাজে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সঠিক সময়ে রেকার আসলে এত প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে না বলে স্থানীয়রা জানায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালাক মো. আবদুল্লাহ ও চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. শাহজাহান নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘ তিনঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহতদের লাশ উদ্বার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকচালক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহতদের স্বজনার জানায়, নিহত শাহ আলমের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী নাদিম মাহমুদ অন্তরকে মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীপুরের সাদারঘর এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্তরকে দেখতে তার পারিবারের লোকজন হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হলেন তারা।