১৯৮৭ সালের এই দিনে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার তৎকালীন 'জিরো পয়েন্ট'- এ পুলিশের গুলিতে নিহত হন যুবলীগকর্মী নূর হোসেন। এরপর থেকে এ স্থানটির নামকরণ করা হয় 'নূর হোসেন চত্বর'।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ১০ নভেম্বর এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ এই শ্লোগান শরীরে ধারণ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেদিন প্রতিবাদের পুরোভাগে থাকা শহিদ নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, অনেকের জীবন উৎসর্গের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছিল। তিনি নূর হোসেনসহ সব শহিদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দেন নূর হোসেন। মিছিলটি রাজধানীর জিরো পয়েন্টে পৌঁছলে একটি বুলেট এসে নূর হোসেনের বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
দিবসটি উপলক্ষে নূর হোসেনের বাসায় আয়োজন করা হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।