শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পাস থেকে তাদের আটক করা হয়।
পরবর্তীতে জালালাবাদ থানার এসআই বিমল দের কাছে তাদের তুলে দেয়া হয়। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী টিলারগাও এলাকার ছোয়াব আলী, নাজিরগাঁও এলাকার সালেহ আহমদ, পল্লাল আহমদ, জুগিপাড়ার মিলন মিয়া এবং মইনুল ইসলাম।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বহিরাগত পাঁচজন ছাড়াও শাবির ১০ শিক্ষার্থীকে গাঁজা কেনা-বেচায় সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে প্রশাসন। তাদেরকে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।
আটকদের মধ্যে ছোয়াব আলী দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাঁজা সরবরাহ করে আসছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেন। তার কাছ থেকে ৩২ পুটলা গাঁজা উদ্ধার করা হয়, যার ওজনে প্রায় ৬০০ গ্রাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীরা মাদক, গাঁজা সেবন করে বিপদগামী হোক। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করেছি। তাই ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত রাখতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানো হয়।’
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় জিরো টলারেন্সে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রশাসন। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।