এই পরীক্ষা চলাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট অঞ্চলের করোনার জিন বিন্যাস উন্মোচন করল শাবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে রুটিন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বরাবর যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থার দরকার হলে এই বিষয়েও সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: শাবিতে প্রায় ২ কোটি টাকার টিউশন ফি মওকুফ
মেডিকেল প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন বলেন, ‘করোনাকালীন স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রথম থেকেই তৎপর ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতোদিন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা ছিল না। পরীক্ষা চলাকালীন সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলের প্রতি কড়া অনুরোধ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের। পরীক্ষা চলাকালীন যদি কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয় তার সেবার জন্য আমাদের মেডিকেল সেন্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্রও প্রস্তুত রাখা আছে।’
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ
‘যদি বেশি পরিমাণে শিক্ষার্থীর মাঝে চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সিলেটের বিভিন্ন হাসাপাতালের সাথে যোগাযোগ করা আছে। বিভাগগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ব্যবহারের তদারকি করছে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার,’ বলেন তিনি।
সার্বিক বিষয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সকলকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরীক্ষা দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আমাদেরকে জানাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন : শাবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জুবায়ের, সম্পাদক মাসুদ
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে গত ১৭ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বশরীরে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।