বৃহস্পতিবার ঢাকায় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ৬ তলা নতুন একাডেমিক ভবনের নবনির্মিত ঊর্ধ্বমুখী বর্ধিত ৩ তলা এবং মেহেরুন্নেসা আইসিটি ল্যাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় আমরা আগের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছি। একই সাথে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। শতকরা ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী এখন কারিগরি শিক্ষায় পড়াশুনা করছে। ২০২১ সালে ২০ ভাগে এবং ২০৩০ সালে তা ৩০ ভাগে উন্নীত হবে।’
তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক স্তরে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েরা সমতা অর্জনের পথে। সকল সেক্টরেই মেয়েরা আজ সমানভাবে কাজ করছে। সমান সুযোগ পেলে মেয়েরা পুরুষের পাশাপাশি যেকোনো চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে সক্ষম।
নাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাত্র ১০ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা পৃথিবীর আর কোনো দেশে সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শতকরা ৪০ জনকে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি-উপবৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ জন ছাত্রী। নারী শিক্ষার উন্নয়নে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে একটি আধুনিক বিশেষায়িত কলেজ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ কলেজের উন্নয়নে ইতিমধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। আরো ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ৬ তলা আবাসিক হল নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ইসমাত রুমিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ শামসুল হুদা, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সোনিয়া বেগম ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জেসমিন আরা রুমা।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ কলেজের মুক্তিযোদ্ধা লাইব্রেরিরও উদ্বোধন করেন।