বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া।
তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে শিক্ষক নির্যাতনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এখানে কোনো শিক্ষার পরিবেশ নেই। আইন করা হয় শিক্ষা পরিপন্থী, চলে স্বেচ্ছাচারিতা। আর এ কারণে আট দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম, সিন্ডিকেটের ৫৮তম সভা অনুসারে শিক্ষকের পদোন্নতিতে জটিলতা শুরু হওয়ায় তা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষকদের সিনিয়রিটি এবং চেয়ারম্যান নিয়োগে অনিয়ম দূর করার দাবি জানানো হয়। শিক্ষা ছুটিতে অনিয়ম এবং পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বর্তমানে যে আন্দোলন করছে, তা যৌক্তিক। আমরা শিক্ষক হিসেবে অনেক কিছুই করতে পারি না। তবে আমাদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ উপাচার্যের বিরুদ্ধেই। শিক্ষকদের সাথে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে। ব্যক্তি বিশেষে আইন কখনো কঠোর হচ্ছে, কখনো শিথিল হচ্ছে। আমাদের জায়গা থেকে ছাত্ররা যে অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে, এর জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান পিন্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এই অবরোধ যতদিন পর্যন্ত ভিসি ইমামুল হক পদত্যাগ না করবেন ততদিন পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।