বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ষষ্ঠ শ্রেণির ‘ইন্টারেক্টিভ ডিজিটাল টেক্সটবুক (আইডিটি)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য ১৬টি ইন্টারেক্টিভ বা মিথস্ক্রিয় পাঠ্যবই তৈরি করা হয়েছে। বইগুলোতে অডিও, ভিডিও, টেক্সট এবং এনিমেশন ব্যবহার করা হয়েছে। এতে পড়ার বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক হবে। তারা সহজে এসব বই থেকে কাঙ্ক্ষিত পাঠ গ্রহণ করতে পারবে। তাদের শিখন স্থায়ী হবে।
এর আগে নবম-দশম শ্রেণির ছয়টি বইয়ের ই-লার্নিং ম্যাটেরিয়াল তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেসিপ প্রকল্পের আওতায় সপ্তম শ্রেণির ছয়টি এবং অষ্টম শ্রেণির ছয়টি আইডিটি তৈরি প্রক্রিয়াধীন আছে।
তার মতে, বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনের জন্য আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ধারণ করতে হবে। প্রযুক্তির সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।
টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট-২ প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা এবং ব্র্যাকের কারিগরি সহায়তায় এই ১৬টি আইডিটি তৈরি করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারয়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ এবং টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. জহির উদ্দিন বাবর।