তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের টেলিভিশন ভারতে দেখা যাচ্ছিল না, এনিয়ে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ছিল। বিটিভি ভারতে সম্প্রচারের জন্য চুক্তি অনুমোদন হওয়ায় বাংলাদেশের একটি কারিগরি দল আগামী ২৫ থেকে ২৭ জুন ভারত সফর করবে। তারা ফেরার পর সিদ্ধান্ত নেব কোন দিন থেকে ভারতে বিটিভি প্রদর্শন করা হবে।’
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোন দিন থেকে বিটিভি প্রদর্শন করা হবে এটি আমাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তের বিষয়, ভারতের পক্ষ থেকে আর কোনো সিদ্ধান্তের বিষয় নেই।’
তিনি বলেন, বিটিভি ভারতের দূরদর্শনে সম্প্রচারের লক্ষ্যে গত ৭ মে একটি ওয়ার্কিং এগ্রিমেন্ট সই হয়। ভারতের নতুন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী গত ১৯ জুন এই ওয়ার্কিং এগ্রিমেন্ট চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে সহসা ভারতে বাংলাদেশ বেতারও শোনা যাবে।
‘সুতরাং বাংলাদেশের টেলিভশন এবং রেডিওর জন্য ভারতের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী মাসেই ভারতে বিটিভি প্রদর্শন শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছি। কারিগরি দল ভারত থেকে ঘুরে আসার পর দিনক্ষণ ঠিক করব। আমরা চাচ্ছি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে করার জন্য।’
আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে আপাতত বিটিভি দেখা যাবে। বেসরকারি টেলিভিশনের ক্ষেত্রে সরকারি পর্যায়ে কোনো বাধা নেই, সেখানে যারা ক্যাবল অপারেটর তাদের পক্ষ থেকে উচ্চ ফি দাবি করা হয় বিধায় সেখানে বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শন করা লাভজনক নয়, সেজন্য সেটি প্রদর্শন করা সম্ভব হচ্ছে না, এ নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।’
‘যেহেতু একটি দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে, সবার জন্য ইনশাল্লাহ খুব সহসা দুয়ার উন্মোচিত হবে,’ যোগ করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে বিটিভি প্রদশর্নের ক্ষেত্রে সরকারি পর্যায়ে সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এখন কারিগরিগুলো ঠিকঠাক করে খুব সহসা ভারতে বিটিভি প্রদর্শনের দিনক্ষণ ঠিক করব।