সকালে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে। তবে বিকালে চিত্র ছিল একেবারেই অন্যরকম। এ সময় ঘাটে কোনো যানবাহনের চাপ ছিল না। ঘাট ছিল মোটামুটি ফাঁকা। শুধুমাত্র ৬০-৭০টা পণ্যবাহী ট্রাকসহ দেড় শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ রো রো ফেরি এনায়েতপুরী, বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ-পরান, শাহ- মকদুমসহ মোট ১৭টি ফেরি সচল রাখলেও সকাল থেকে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে ঘাটের চিত্র পাল্টে যেতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাট হয়ে পড়ে যানজট মুক্ত। যাত্রীর সংখ্যা একেবারে কমে যায়।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল আলিম জানান, বর্তমানে মোট ১৬টি ফেরি দিন-রাত সার্ভিস দিচ্ছে। এছাড়া রয়েছে ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় ৫শ’ সিবোট। ফেরিগুলো কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আনলোড করার পর খালি চালিয়ে চলে আসছে এসব অপেক্ষমান যানবাহন পারাপারের জন্য।
বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মিয়া জানান, যাত্রীদের পারাপারের সুবিধার্থে বিআইডব্লিউটিএ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, রোভার স্কাউট ও মেডিকেলটিম ঘাটে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম মো. নাসির উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়া এবং নদীতে অস্বাভাবিক ঢেউ থাকায় ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হলেও শুক্রবার পরিস্থিতি ভালো। এর আগে স্রোত ও বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে ফেরিঘাটের পন্টুনের সংযোগ সড়ক বিনষ্ট হয়। সব মেরামতের পর এবং নদীর অবস্থা কিছুটা শান্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ১৬টি ফেরি চলাচল শুরু হয়। শুক্রবার সকাল থেকে ১৭টি ফেরি দিয়ে পারাপার চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জয়েদুল আলম বলেছেন, ঘাটের নিরাপত্তায় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদে ঘরমুখী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারে সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। সেই সাথে কাজ করছে রোভার স্কাউট।