‘আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিবে। আমরা আমাদের শিশুদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ও দেশকে ভালোবেসে তারা কাজ করবে’, বলেন তিনি।
৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার বঙ্গবন্ধু -১ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। সারাদেশে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ চালু করেছে। শিক্ষাথীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক এবং উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদেরকে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল।’
‘সরকার দেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত করতে চায়’, বলেন তিনি।
মাদক, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষায় এবং এ বিষয়ে তাদের সতর্ক করতে বাবা-মা, অভিভাবক, শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শিশুদের খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু পড়ালেখাই যথেষ্ট নয়, শিশুদের ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ারও প্রয়োজন আছে। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা বিকশিত হতে হবে। তারা একটি সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে হবে। এটি আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমরা সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু করেছি।’
দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্নির্মাণ এবং শিশু-কিশোরদের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করেন তিনি।
ঢাকা জেলা প্রশাসন সমাবেশটির আয়োজন করে। সমাবেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।
বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের মনোজ্ঞ প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে তিনি বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে সমাবেশটির উদ্বোধন করেন।
এছাড়া সঠিক সুরে জাতীয় সংগীত গাওয়ার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।