গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড -১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আটটি জেলার জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি জেলার একটি ভালো হাসপাতালে একটি করে আইসিইউ স্থাপন করব। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল জেলায় এটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ... আমরা আইসিইউ পরিচালনার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’
জেলাগুলো হলো সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার শিগগিরই অতিরিক্ত ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নতুন চিকিৎসক এবং নার্সদেরকে করোনাভাইরাস চিকিৎসা সম্পর্কিত বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণের পর তারা এ বিষয়ে পরিষেবা প্রদান করবে।’
এসময় দুগ্ধচাষী বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ ও পাবনার দুগ্ধচাষীদের সুরক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দেয়া এবং এ দুধ ত্রাণসামগ্রী হিসেবে শিশুদের জন্য বিতরণ করতে জনগণ ও স্থানীয় প্রশাসন উভয়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে মিল্কভিটা চালু রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করছেন, ত্রাণ হিসেবে আপনারা শিশুদের জন্য দুধও দিতে পারেন।’
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ শুরু করার আগে সম্প্রতি ফিরে আসা বিদেশিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে আরও ৭ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪৯৭
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এর আগে পাঁচ দফায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা প্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।