সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের পঞ্চম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। এটা শুধু কুমিল্লার আদালতের বিষয় নয়, ৬৪ জেলার আদালতে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
ডিসি সম্মেলনে হওয়া আলোচনা প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘আগেও আপনাদের জানিয়েছি, এখন যে প্রসেকিউশন আছে তার ৩০ ভাগ আমরা স্বাধীন প্রসেকিউশন সার্ভিস করার চিন্তা করছি। পিপিদের বেতনের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করছি এবং সেই প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছি। এ বিষয়টি আমি আজ ডিসিদের জানিয়েছি।’
যেসব মামলায় জেলা প্রশাসন জড়িত সেগুলো নিয়ে যাতে যোগাযোগে কোনো ঘাটতি না থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টে যেসব মামলা হয় তা ডিসিরা যেন তাৎক্ষণিক জানতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে। ‘পাঁচ থেকে সাতজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি দল করে দেব। যারা ৬৪ জেলার মামলার বিষয়ে যোগাযোগ রাখবে। তাতে মামলা সংক্রান্ত স্বাভাবিক যোগাযোগ ও তার তড়িৎ নিষ্পত্তি নিশ্চিত হবে।’
ফৌজদারি ধারার ক্ষমতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ জন্য আইন সংশোধন করতে হবে। যেহেতু আইন সংশোধন ব্যতিত এটি সম্ভব নয়, ফলে এ মুহূর্তে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেখা যাবে এর প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা।
ফৌজদারি মামলার দায়িত্ব ডিসিদের চাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।