তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু...এটাই আমরা করতে চাই। আমি আশা করি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনে অংশ নেবে।’
যুবলীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাস্তবতা হলো যে রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করলে গণতন্ত্র কখনো শক্তিশালী হয় না।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আগামী ১১তম সাধারণ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে গণতন্ত্র পায়ের তলায় দৃঢ় ভিত্তি পাবে।
আসন্ন নির্বাচন দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছি, কারণ আমরা দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দারিদ্র্যতার মাত্রা ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা যদি আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় আসি তাহলে তা আরও ৪-৫ শতাংশ কমাতে পারব। তার মানে হলো এটা ১৬-১৭ শতাংশ থাকবে। আমরা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করতে পারব।’
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল ক্ষমতায় আসলে উন্নয়নের ধারা স্থগিত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের জাতির পিতার আদর্শের রাজনীতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কেউ যদি রাজনীতিতে সফল হতে চায় তাহলে তার ত্যাগের মনোভাব থাকতে হবে।’
নিজেরা ‘কী পেলাম’ সেই মানসিকতা পরিহার করে ‘দেশকে কী দিতে পারলাম’ আচরণ লালন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।