তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা, দারিদ্র ও নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চাই। এ জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা চাই।’
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নত্তোর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ শহীদুজ্জামানের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের চোখে দলমত নির্বশেষে সকলেই সমান। আমরা সবার জন্যই কাজ করবো।
আওয়ামী লীগ বিকৃত রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সমতায়, ভ্রাতৃত্বে ও ঐক্যে বিশ্বাস করি।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী গত ২৫ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে ঐক্যের ডাক দেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাসী হিসেবে আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ঐক্যে বিশ্বাস করে।
‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে ও অগ্রগতির জন্য সকল নাগরিকের অংশগ্রহণ প্রয়োজন,’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন ব্যক্তি যে কোনো দল বা সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং তাদের ভিন্নমত থাকতেই পারে।
‘এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বাভাবিক, কিন্তু কখনও কখনও এটি দেখা যায় যে বিরোধীদের নির্মূল করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।’
এক্ষেত্রে ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বারবার বিকৃত রাজনীতির শিকার হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করেন। যাতে আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।