মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪২ মিনিটের দিকে মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ থাইল্যান্ড থেকে দেশে আনা হয়।
রবিবার বাদ জোহর গ্রিনরোডস্থ জামে মসজিদের মাহফুজ উল্লাহর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তার মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেয়া হয়। ৫টা ২০ মিনিটের দিকে সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে তার সহকর্মী, রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন সংগঠন তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান।
মাহফুজ উল্লাহ ১৯৫০ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে উনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশ নেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
বাংলাদেশের একসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই তিনি এ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। রেডিও ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেছেন। টেলিভিশনের টক শো’তে জনপ্রিয় মুখ ছিলেন মাহফুজ উল্লাহ।