এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নবম ওয়েজবোর্ডের বিষয়টিকে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই এটা এজেন্ডা আকারে তুলেছি। সেখানে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি মন্ত্রিপরিষদ কমিটি করা হয়। কমিটিতে সিনিয়র মন্ত্রীদের রাখা হয়েছে।’
‘সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড, ২০১৮’র সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে গঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
‘আমরা নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে নতুন একটি যাত্রা শুরু করেছি মাত্র। আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে এর একটা সমাধান করতে পারব,’ বলেন তিনি।
টেলিভিশন সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ডে যুক্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘টেলিভিশনের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দেব। কমিটির পরবর্তী বৈঠকে এটা আলোচনার মধ্যে আসবে।’
ভুঁইফোড় অনলাইন বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বৈঠকে উপস্থিত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনলাইন পত্রিকার প্রয়োজন আছে। কিছু অনলাইন ভালো করছে। তবে যারা সত্য সংবাদ প্রচারের চেয়ে প্রপাগান্ডা প্রচারে বেশি ব্যস্ত তাদের বিরুদ্ধে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ায় নবম ওয়েজর্বোড নিয়ে মন্ত্রিসভার আগের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। নবম ওয়েজবোর্ড সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে প্রধান করে সাত সদস্যের এ কমিটি করা হয়।
এর আগে নবম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় গত ৩ ডিসেম্বর ওই সময়ের সংস্কৃতিমন্ত্রীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। ওই কমিটিতে শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে রাখা হয়েছিল।