শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মূল হোতা মনিরকে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি যাওয়া ৫টি ট্রাকও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আরো জানান গত ৬ জুন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে একটি ট্রাক চুরির তদন্ত করতে গিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ রাজবাড়ী জেলার আহাদকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী থেকে সুজন ও আরিফকে আটকের পর পুলিশ সারাদেশে ট্রাক চুরির মূল হোতা মনিরকে শনাক্ত করে।
মনিরের বাড়ি কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আদর্শপাড়ায়। গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকত থেকে মনিরকে আটক করে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে আটকের পর পুলিশ জানতে পারে, সারাদেশ থেকে ট্রাক চুরির পর বিআরটিএ’র একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে ট্রাকের নম্বর পরিবর্তন করে জাল কাগজপত্র তৈরি করা হয়। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরে তা বিক্রি করে দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, গ্রেফতার মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদে সারাদেশ থেকে প্রায় ৮০টির মতো ট্রাক চুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ। বর্তমানে এসব ট্রাক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।