ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার তারগেণ্ডারিয়ায় বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ২টার দিকে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হজরত আলী নামে সন্দেহভাজন এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় থানার ইনচার্জ কাজী ওয়াজেদ আলী।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় র্যাব ও বিজিবির সাথে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা যুবকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- টেকনাফের মুশুনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বুইজার ছেলে নুরুল আলম (৩৭) এবং লক্ষ্মীপুরের জিএম হাট এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে বেলাল হোসেন (২৫)।
র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, আলম আনসার ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ছিনতাই মামলার আসামি। ভোর ৪টার দিকে দমদমিয়া এলাকায় র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সে নিহত হয়।
বিজিবি-২ এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান জানান, ভোর ৫টার দিকে কাটাবনিয়া এলাকায় বিজিবির সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বেলাল নিহত হয়।
সে মাদক ব্যবসায়ী এবং ঘটনাস্থল থেকে ৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করেছে বিজিবি। বেলালের বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান।
ময়মনসিংহ মহানগীর ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুর রশিদ (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এলাকার হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ মাঠে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রশিদ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামল আকন্দের ভাষ্য, রাত ১টার দিকে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ মাঠে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছে এমন খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে তারা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ আব্দুর রশিদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, মাদকসহ একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে খুলনা শহরের নিরালা এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাসুদ কামাল রানা (৩৫) নামে এক যুবক নিহতের খবর জানিয়েছে পুলিশ।
আব্দুল হকের ছেলে রানাকে সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী বলছে পুলিশ।
পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠুর ভাষ্য, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ওই এলাকায় পুলিশের একটি দল মাদক ব্যবসায়ীদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশের ওপর গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে রানা গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা পালিয়ে গেলে রানাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অন্যদিকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মো. আল-আমিন নামে এক সন্দেহভাজন ডাকাত নিহতের খবর জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আল-আমিন উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সহিদুল ইসলামের ভাষ্য, ভোর ৪টার দিকে ডাকাত দলের সাথে পুলিশের গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদের একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আল-আমিনের বুকে লাগে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার ও দেশীয় একটি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিতাস থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম জানান, নিহত আল-আমিনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাইসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।