মাছটির মূল ক্রেতা কক্সবাজারের মহেশখালীর ইসহাক বলছেন, মাছটি হংকংয়ে রপ্তানি হবে। আর মাছটির ফুসফুস দিয়ে বিশেষ ধরনের স্যুপ তৈরি হয়, তাই মাছটির দাম এত বেশি।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, পোয়া মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের অপারেশনাল সুতা তৈরি হয় বলে মাছটির এত দাম। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
জেলে আবদুল গণি জানান, তাঁর নিজস্ব ট্রলারে মঙ্গলবার সকালে অপর দুই জেলেকে নিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সাগরে বের হয়েছিলেন। সকাল ১০টার দিকে সেন্টমার্টিনের এক-দেড় কিলোমিটার দূরে ফুলের কূপ নামক স্থানে জালে মাছটি ধরা পড়ে । মাছঘাটে ফিরলে মাছটি দেখে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ও ফজল করিমের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এক লাখ থেকে দাম উঠতে উঠতে একপর্যায়ে আট লাখ টাকায় ফজল করিমের কাছে মাছটি বিক্রি করি। এরই মধ্যে টাকাও বুঝে পেয়েছেন তিনি।
আবদুল গণির জালে ধরা পড়া পোয়া মাছটি স্থানীয় ভাষায় কাল পোয়া নামে পরিচিত। আর এই কাল পোয়ার যে অধিক দাম, তা আগে থেকেই জানতেন আবদুল গণি। এর আগেও তাঁর জালে কাল পোয়া ধরা পড়েছিল। তবে সেগুলো আকারে ছোট ছিল, এক-দেড় কেজি ওজনের। এত বড় মাছ আগে কখনো তাঁর জালে ধরা পড়েনি বলে জানান তিনি।