নিহত জিল্লুর রহমান (৪৩) পাঁচলিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি হাটিকুমরুল ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন।
পাঁচলিয়া হাটের ইজারাদার ওয়াজেদ আলী জানান, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত রহমান পাঁচলিয়া হাটে বণিক সমিতির সভার নামে গণ জমায়েত করার চেষ্টা করলে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে অবগত করা হয়। বিষয়টি শোনার পর ইউএনও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আরাফাতের লোকজন পুলিশের সামনেই বাজারে মিটিং করার চেষ্টা করলে বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে জিল্লুর রহমান আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে আরাফাত রহমান বলেন, পাঁচলিয়া বাজারে বণিক সমিতির পক্ষ থেকে দুপুরে সভা আহ্বান করার পর হাটিকুমরুল ইউপির চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আলমের বাহিনী বাধা দিলে কথা কাটাকাটি হয়। সেখানে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। ওই ইউপি সদস্য আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে হয়তো স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
সলঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ইউপি সদস্যের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’