শুক্রবার ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বাকি বিল্লাহ এ আদেশ দেন।
এর আগে আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ইয়ার খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আসামির বিরুদ্ধে যায় না।
‘মালিক তো আর গাড়ি চালাননি। তাহলে কেন রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে? দুর্ঘটনার পর প্রত্যেক মালিকই তো নিরাপদ স্থানে গাড়ি সরিয়ে নেয়ার কথা বলবেন। এতে তো অপরাধের কিছু নেই। রিমান্ড চাওয়ার কোনো যুক্তিগত কারণ নেই,’ যোগ করেন তিনি।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, গাড়ি চালকের হালকা যান চালানোর লাইসেন্স ছিল। কন্ডাক্টরের কোনো লাইসেন্স ছিল না। তারপরও মালিক কন্ডাক্টরকে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দিয়ে অপরাধ করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে গোপাল নন্দীকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত বাসের কন্ডাক্টর ইয়াসিন আরাফাত ও সহকারী ইব্রাহিমকে ২৭ মার্চ সাত দিনের রিমান্ডে পাঠায়। তারা ২ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
এর আগে বাসের চালক সিরাজুল ইসলামকে ২০ মার্চ সাত দিনের রিমান্ডে পাঠায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। সিরাজুল ২৮ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকেও পরে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯ মার্চ প্রগতী সরণীতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের ধাক্কায় নিহত হন আবরার। দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাসের চালককে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।