আটক অপর ব্যক্তি হলেন জসিম উদ্দিন।
নোয়াখালীর চরজব্বার থানা পুলিশের একটি দল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট থেকে জসিমকে আটক করে। পরে ডাবলমুরিং থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি থেকে বুলুকে আটক করা হয়।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।’
আটকদের মধ্যে বুলু (৬০) সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের প্রধান সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আর জসিম (৩০) সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় কলা বিক্রেতা।
পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে বুলু বা জসিমের নাম ছিল না। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পায়।
সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের ওই গণধর্ষণের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং চারজন ইটভাটা শ্রমিক।
ধর্ষণের শিকার নারীর অভিযোগ, ভোটের দিন নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ঘটনার জেরে রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের সাঙ্গপাঙ্গরা বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘বুলু ওই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। ভোটকেন্দ্রে তার সঙ্গেই ওই নারীর ঝামেলা হয়েছিল। পরে সে ১০ হাজার টাকায় কয়েকজন ইটভাটা শ্রমিককে ভাড়া করে এ ঘটনা ঘটায়।’