সোমবার ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটের মহড়া পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে ভোটারদের মনে আস্থা বাড়বে। কারণ সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো- ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করবে। আমি মনে করি এখন যে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যাবে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সব কিছু করতে পারবে জানিয়ে সিইসি বলেন, সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন- তখন তারা স্বউদ্যোগে সেখানে গিয়ে সে পরিস্থিতি সংযত করবে। এগুলোর আইন আছে, ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আলোকে তারা ব্যবস্থা নেবে।
ইভিএমের ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই। তাদেরকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ইভিএমে ভোট নিয়ে সন্দেহ দূর করতে সিব রাজনৈতিক দলকে প্রশিক্ষণে আসার আহ্বান জানিয়ে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহ গুরুত্ব দিতে গিয়েই ইসি সীমিত সংখ্যায় মাত্র ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট নিচ্ছে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ব্যাপার। ‘তারপরও আমি ডিএমপির সাথে কথা বলবো সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো হুমকি রয়েছে কিনা।’