চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তর উপজেলার প্রায় ৪০ গ্রামে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়েছে। এসব এলাকার মুসল্লিরা হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারী। তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ১৯৩৩ সাল থেকে ইসলামের বিভিন্ন বিধান পালন করে আসছেন।
রবিবার তারা ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি দেন। সকাল ৯টা থেকে এসব গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সাতক্ষীরার আট গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার বাউখোলায় ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মহব্বত আলী। জামাতে বাউখোলা, সাতানি, ভাদড়া, নলতা এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও পাইকগাছাসহ আট গ্রামের শতাধিক মানুষ নামাজ আদায় করেন।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক পরিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে। সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ মোড়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রেজাউল ইসলাম। জামাতে পৌরসভা এলাকা এবং দৌলতপুর, ভালকী, কুলবাড়িয়া, বৈঠাপাড়া, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দপুর ও পার্বতীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অংশ নেন।
দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, বিরামপুর ও কাহারোল উপজেলার কিছু এলাকায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। এসব পরিবারের মুসল্লিরা বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
সকাল ৮টায় জেলা শহরের বাসুনিয়াপট্টিতে ঈদের জামায়াতে প্রায় দুই শ মুসল্লি অংশ নেন। এখানে ইমামতি করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করেন।
এছাড়া, চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া ও রাবার ড্যাম এলাকা, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া বাজার এবং বিরামপুর ও পার্বতীপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।