নিহতরা হলেন- মঈনুদ্দিন (৩০), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫), তাদের কন্যা সন্তান মিথিলা (৫) ও ছেলে সিয়াম (১)।
ঘটনাস্থল থেকে জেলা পুলিশ সুপার জিহাদ কবির ইউএনবিকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
তবে, এ হত্যাকাণ্ডের তাৎক্ষণিক কোনো কারণ জানাতে না পারলেও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করে মঈনুদ্দিন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুন পাটোয়ারি ইউএনবিকে বলেন, মঈনুদ্দিন চট্টগামের একটি বেকারিতে কাজ করতেন। রবিবার রাতেই সে বাড়িতে আসে।
তিনি বলেন, রাতের পর আজ সকালে স্ত্রী-সন্তানসহ তার মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
মইনুদ্দিনের বড় ভাই কালাম সরদার জানান, মইনুদ্দিন শনিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসে। ওইদিনই সে শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরদিন রবিবার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে আসে।
তিনি বলেন, স্ত্রীর সোনার গহনা হারানো নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এ নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথেও তার কথা কাটাকাটি হয়।
মইনুদ্দিন চট্টগ্রামের একটি বেকারি কারখানায় ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল বলে জানান তার ভাই।