সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন। পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনে থাকবেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন।
শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শনে রেলস্টেশন যান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেন এবং রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন।
এসময় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মো. গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় ৫৯৩ কিলোমিটার রেলপথে দ্রুতগতির ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে ১০ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছবে। ট্রেনটি প্রতিদিন বেলা সোয়া ১২টায় পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবে। রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চগড় পৌঁছবে।
যাত্রাপথে রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পাবর্তীপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। ঢাকা থেকে আসার পথেও এসব স্টেশনে থামবে। এই ট্রেনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকলেও ভাড়া একতা ও দ্রুতযানের সমান রাখা হয়েছে। ট্রেনের ৩০ শতাংশ আসন পঞ্চগড়ের জন্য, ৩০ শতাংশ দিনাজপুর, ২৫ শতাংশ ঠাকুরগাঁও এবং ১৫ শতাংশ পার্বতীপুরের জন্য নির্ধারিত থাকবে। সব মিলে প্রায় একহাজার যাত্রী পরিবহন করবে ট্রেনটি।
ট্রেনটি উদ্বোধনের পর প্রথম যাত্রী হবেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। ট্রেনের প্রতিটি যাত্রী বিনামূল্যে ঢাকা যাবেন এবং সকল যাত্রীর জন্য ইফতারের আয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. মোশাররফ হোসেন।