জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ। ‘এই বাংলাদেশে মানুষের অধিকার রক্ষা করা হবে। ইনশাল্লাহ, আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলব।’
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতিমধ্যে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে এবং এ বর্ষ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। ‘আমরা দেশের সব এলাকায় ইউনিয়ন স্তর থেকে কমিটি গঠন করেছি। মুজিব বর্ষ পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন। ‘আমাদের এ স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন অনুযায়ী দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’ এটা করা যাবে বলে নিজের বিশ্বাসের কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে মৌলিক কাঠামো স্থাপন করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো কিনা তা নিয়ে মানুষের মাঝে সন্দেহ আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের সব ধরনের চাপ, ভয় ও হুমকি উপেক্ষা করে ১৯৪৮ সাল থেকে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কোনো কিছুই তাকে তার লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামে প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সতর্কতার সাথে নিয়েছেন। কারণ তিনি জানতেন যে কোনো ভুল পদক্ষেপ জনগণের প্রত্যাশাকে ব্যাহত করতে পারে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ফজিলাতুচ্ছেনা ইন্দিরা ও আজমত উল্লাহ।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এ সময় বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে আলোচনা করেন।