তিনি বলেন, ‘সড়কপথে নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা বন্ধে সরকারের গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে বিআরটিএ এর কোথায় দুর্বলতা রয়েছে, রাস্তার কী অবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে প্রচার-প্রচারণায় চারটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও তথ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই চারটি উপ-কমিটি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘১১১ দফা বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে, সেই টাস্কফোর্সের কাজ ছিল পরিবহন সেক্টরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বাস্তবমুখী বাস্তব পরিকল্পনা করা। আজ সেই কমিটির প্রথম সভা হলো।’
‘আজকের সভায় আমাদের দুর্বল পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। বিআরটিএকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। যে দুর্বলতা আছে তা দূর করে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করবে,’ যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উপ-কমিটি দুমাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ ও পরিকল্পনা দেবেন। দুমাস পর আবার টাস্কফোর্সের বৈঠক হবে। তাদের সুপারিশের সাথে অ্যাকশন প্ল্যান করে দেবে।’
সড়কে প্রধানমন্ত্রী সুন্দর পরিবেশ আনতে চান জানিয়ে তিনি বরেন, ‘কীভাবে কাজ করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। চারটি সাব কমিটি সুন্দরভাবে সুপারিশ দেবে। সেখান থেকে আমরা কাজ করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সড়ক আইনে মৃত্যুদণ্ডের কোনো কথা লেখা নেই। মিথ্যা প্রচারের জন্য চালকদের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। সেজন্য তথ্য সচিব কাজ করবেন।’
‘আইনে কত বছর সাজা হবে এবং সর্বোচ্চ কত টাকা জরিমানা হবে সেটি লেখা আছে, সেটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। তবে আইন অনুযায়ী কী শাস্তি হবে বা কত অর্থদণ্ড হবে সেটা বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন,’ যোগ করেন তিনি।