দুর্ঘটনার পর মানুষ চালক ও সহকারীদের ফাঁসির দাবি করেন এবং তাণ্ডব চালান। কিন্তু দুর্ঘটনার জন্য আসলে কারা দায়ী তা তারা কখনো বুঝার চেষ্টা করেন না, যোগ করেন তিনি।
রাজধানীতে আয়োজিত এক সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান আরও বলেন, ‘শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা হিসেবে আমি সতর্ক করছি যে যদি কোনো চালক লাইসেন্স ছাড়া বা ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে গাড়ি চালান তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। একই সময়ে আমাদের চালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অবিচার আমরা মেনে নেব না।’
চাঁদাবাজিকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের জন্য চাঁদাবাজি ও দুর্ঘটনা প্রধান চ্যালেঞ্জ। যদি আমরা মহাসড়কে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা সবার জন্য ভালো সেবা নিশ্চিত করতে পারব।’
সাম্প্রতিককালে পরিবহন খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গুলিস্তানের কাজী বশির মিলনায়তনে মালিক-শ্রমিকদের এ যৌথ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমাদের পরিবহন খাত সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। চালক ও সহকারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু কোনো দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে তাহলে আমরা কখনো বিরোধিতা করব না। কিন্তু নিরীহ কেউ হয়রানি হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।