বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
গত ২ মার্চ থেকে হজযাত্রী নিবন্ধনের কার্যক্রম চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে ওমরাহযাত্রী প্রেরণ ও সৌদি আরবের সাথে যোগাযোগ বন্ধ আছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে ২০২০ সালের হজযাত্রী প্রেরণের লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ এক লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অন্য কোনো ব্যয় বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। অবশিষ্ট অর্থ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে জমা প্রদান করার জন্য হজযাত্রীকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধনের সময় হজযাত্রীদের জমা দেয়া অর্থ পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া বা অন্য কোনো খাতে ব্যয়ের জন্য প্রেরণ করা যাবে না এবং বাংলাদেশেও বিমান ভাড়া বা অন্য খাতে অর্থ ব্যয় করা যাবে না। বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে হজযাত্রী প্রেরণ করা সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট এজিন্সকে জমাকৃত অর্থ হজযাত্রী বরাবর ফেরত দিতে হবে।
আর সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য পূর্বের মতো সম্পূর্ণ টাকা জমা প্রদান করে নিবন্ধনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সরকার ঘোষিত নিয়ম-কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি এবং মসজিদে নামাজ আদায়ের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান।