রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন জানান, তেঘরিয়া গ্রামের হারুন চৌধুরী ও তার ছেলে মামুনুর রশিদ চৌধুরীর মাঝে সম্পত্তির ভাগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মামুনুর রশিদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাবা হারুনকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত হারুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে রাতে তিনি মারা যান।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ছেলে মামুনুর রশিদ পলাতক রয়েছে।
ওসি আরও জানান, হত্যার বিষয়টি গোপন করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শনিবার দুপুরে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেয় পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাখাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। রবিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বিকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।