একইসাথে মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত করে নথিও তলব করা হয়েছে।
মামলা দুটি বাতিলের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো.রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং সাথে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম।
পরে খুরশীদুল আলম ও মাসুদ রানা জানান, আদালত দুই মামলায় মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। সেই সাথে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে নথি তলব করেছে।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর এই দুই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মইনুল হোসেন।
গত ১৬ অক্টোবর এক টেলভিশন টকশোতে সাংবাদিক ও উপস্থাপক মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’
মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেয়ার এক পর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
এরপর রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়।
রংপুরে করা মানহানির মামলায় ২২ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।