বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক শিশু সংস্থাটি বলেছে, গত বুধবার প্রথম দফায় সাত শিশুর মুক্তির পথ অনুসরণ করে আগামী দুই সপ্তাহে বেশ কয়েক শ শিশু মুক্তি পেতে পারে।
ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি তোমো হোযুমি বলেন, ‘আমি সর্বান্তকরণে ভার্চুয়াল শিশু আদালত চালুর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছি এবং বন্দিদশা থেকে শিশুদের মুক্তি পাওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের কল্যাণ ও সুরক্ষা অবশ্যই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকবে। সব ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা শিশুদের জন্য এ মহামারিকে একটি স্থায়ী সংকটে রূপ নেয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারি।’
গত মার্চে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের পর দেশে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং কেন্দ্রগুলোতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ।
শিশুরা যাতে তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হতে পারে সে জন্য পরিবারের সাথে যোগাযোগ এবং তাদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সহায়তার লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাথে কাজ করছে ইউনিসেফ।
এসব শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা, মনঃসামাজিক সহায়তা, সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবিলা এবং শিক্ষার মতো অন্যান্য সেবা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে পরিবারে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশে একটি কিশোর বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। একই সাথে আরও একটি আদালত ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যেটা শিশুদের প্রয়োজনগুলো বিবেচনায় নেবে। শিশুবান্ধব আদালতসহ শিশুদের ন্যায়বিচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের শিশু অধিকার বিষয়ক বিশেষ কমিটি এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে ইউনিসেফ।
১০২টি আদালতের মধ্যে ১৬টি আদালতের পরিবেশ এখন শিশুদের জন্য তুলনামূলকভাবে কম ভীতিকর এবং সেগুলোর কর্মীরা শিশু অধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ভার্চুয়াল আদালত চালুর অধ্যাদেশের পর ইউনিসেফ এখন প্র্যাকটিস নির্দেশনা প্রণয়নে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে, যাতে শিশু আদালতগুলো আরও শিশুবান্ধব হয়ে উঠতে পারে।