তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কোনো হাসপাতাল থেকে রোগীকে এভাবে ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী কাজ। সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
৫০ বেডের কোভিড ইউনিট স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আজ মা ও শিশু হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অন্যদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। কারণ আজকের পত্রিকায়ও আমরা দেখছি, হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে স্ত্রীর সামনে অসহায়ভাবে স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে। এধরণের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত।'
চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাংসদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো হাসপাতাল থেকে রোগীকে এভাবে ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী কাজ। সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তাদের এসময় কাজে আসতে না চাওয়াটা কোনোভাবে সমীচীন নয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা মানুষকে চিকিৎসা ও সেবাদানের জন্যই লেখাপড়া করেছেন, তাদের হাত গুটিয়ে নেয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে সৈন্য পলায়নের মতো।’
তথ্যমন্ত্রী এ মহামারি পরিস্থিতিতে গুজব ও আতংক ছড়ানো প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন ও সবাইকে অহেতুক সমালোচনা পরিহার করে মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান।
এসময় ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি সমন্বয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মোর্শেদ হোসেন, পরিষদ সদস্য ও করোনা ইউনিট উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী ও ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ প্রমূখ এতে অংশ নেন।