রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে নবনির্মিত দুই হাজার শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২০০০, ডিএনসিসি মার্কেটে ১৩০০ ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে ১২০০ উন্নত নতুন শয্যা এখন প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যেই এগুলো উদ্বোধন করে উন্মুক্ত করা যাবে। এগুলোর পাশাপাশি দেশের রাজধানীসহ জেলা-উপজেলায় আরও ৬০১ প্রতিষ্ঠানে করোনা আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। সব মিলিয়ে করোনা মোকাবিলায় দেশে এখন ২০ হাজারেরও বেশি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত হয়ে গেছে।’
এর থেকেও বেশি প্রয়োজন হলে তারও ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনায় দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে সঠিক নিয়মে সীমিত আকারে কিছু শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার পক্ষে মত দেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দেশের কিছু মানুষ যাতে কর্মহীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রেখে সীমিত পরিসরে কিছু শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বহু দেশে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড তো লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করে দিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরাও সামনেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনায় পর্যাপ্ত আইসোলেশন শয্যা, আইসিইউ সেন্টার, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বৃদ্ধিসহ নতুনভাবে আরও ২ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এদের পাশাপাশি বেশকিছু মেডিকেল টেকনোলজিস্টও আপাতত আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. হাবিবুর রহমান খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।