সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান।
সভায় ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৭টি কেন্দ্র এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে, সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামীকাল ১১ সেপ্টেম্বর পবিত্র জিলহজ্জ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা শুরু হবে। সে প্রেক্ষিতে, আগামী ১০ মহররম অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সারাদেশে পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জহির আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ওয়াক্ফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ আবুল হাসনাত, ঢাকা জেলার এডিসি (জেনারেল) মো. শহিদুজ্জামান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব ক্বারী আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে আশুরার দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। ইসলাম ধর্মমতে, মহান আল্লাহ ওই দিনেই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং ওই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে। আশুরার দিনে বিশ্বে সংঘটিত অলৌকিক অনেক ধর্মীয় ঘটনার কারণে মুসলমানদের কাছে ১০ই মহররম বিশেষভাবে মহিমান্বিত। এছাড়া ওই দিনে ঐতিহাসিক কারবালা প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসের মর্মান্তিক এ বিয়োগান্তক ঘটনা দিনটিকে দিয়েছে শোকাবহ বেদনার বিশেষ মাত্রা।