মঙ্গলবার এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম জানান, গত বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২২টি কারখানায় এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, মেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যৌন হয়রানির শিকার।
তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
কর্মজীবী নারী সংগঠনের সভাপতি ডা. প্রতীমা পল মজুমদার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন সহিংসতা রোধে সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
‘শ্রমিক ও কারখানা মালিকদের মাঝে ভালো সম্পর্ক থাকলে যৌন সহিংসতার হার কমে যাবে,’ বলেন তিনি।
গবেষণাটিতে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির জন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতি, কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীন আচরণকে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গবেষণায় অংশ নেয়া বেশিরভাগ নারী ও পুরুষ জানান, নারীরা দুর্বল ও প্রতিবাদ না করার কারণে যৌন হয়রানির শিকার হন।
তবে ২১ শতাংশ পুরুষ ও ৭ শতাংশ নারী মনে করেন, নারীরা তাদের পোশাকের জন্য যৌন হয়রানিতে পড়েন।
সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সির সেকেন্ড সেক্রেটারি ইলভা সালসট্রেনড বলেন, নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে সচেতন থাকা দরকার। শিক্ষা এ সচেতনতা তৈরি করতে পারে।
‘যৌন নির্যাতনবিরোধী কমিটিগুলোকে অবশ্যই নারী শ্রমিকদের সহায়তা করতে হবে। কারখানা মালিক, ব্যবস্থাপনা ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত। পাশাপাশি এখানে সামাজিক সংলাপও দরকার,’ যোগ করেন সালসট্রেনড।