সকালে সেতুর ২৮তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মাসেতুর ৪.২ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। ফলে স্বপ্নের সেতু এখন বাস্তবায়নের কাছাকাছি।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, সকাল ৯টায় মাওয়ার প্রান্তে সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর খুঁটিতে ২৮তম স্প্যানটি বসানো হয়।
এর আাগে সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ ২৭তম স্প্যান এবং ১০ মার্চ ২৬তম স্প্যানটি বসানো হয়। চলতি মাসেই ২৯তম স্প্যানও বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩৯টি স্প্যান এখন মাওয়ায়। অপর ২টি স্প্যান চীন থেকে আগমী ২০ এপ্রিল রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সংশোধিত সূচি অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা থাকলেও দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা মনে করছেন নির্ধারিত সময়ের আগেই আগস্টের মধ্যে খুঁটির ওপর সব স্প্যান বসে যাবে।
দ্বিতল সেতুর ওপরে থাকবে সড়কপথ আর নিচে থাকবে রেলপথ, যা এখন ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। বসে যাওয়া স্প্যানের ভেতরে নিচ তলায় বসছে রেলওয়ে স্লাব। আর ওপর তলায় বসছে রোডওয়ে স্লাব।
৬.১৫ কিলোমিটার পুরো সেতুতে রোডওয়ে স্লাব স্থাপন হবে মোট ২ হাজার ৯১৭টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৬০০ স্লাব তৈরি হয়ে গেছে। বাকি ৩১৭টি রোডওয়ে স্লাব তৈরির কাজ চলছে। এপর্যন্ত রোডওয়ে স্লাব স্থাপন হয়ে গেছে ৪২৩টি।
পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে স্লাব স্থাপন হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। রেলওয়ের সবগুলো স্লাবই তৈরি হয়ে গেছে এবং ইতিমদ্যে ৯০২টি স্লাব স্থাপন করা হয়েছে।
সেতুতে করোনাভাইরাসের প্রভাব প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী কাদের বলেন, ‘পুরো প্রকল্প স্থানটি আইসোলেটেট। তাই এখানকার দেশি-বিদেশি কর্মীরা নিরাপদ। বাইরের কাউকেই এখানে এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভেতরে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলছেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’।