এদিকে, সংঘর্ষে চীনা শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কলাপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সাথে হামলা, ভাঙচুর ও চুরির অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে ৫০০-৬০০ শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, রাতেই পায়রার বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বয়লার থেকে নিচে পড়ে সাবিন্দ্র দাস (৩২) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছিলেন শ্রমিকরা। পরে বাংলাদেশি ও চীনা শ্রমিকদের মাঝে সংঘর্ষে এক চীনা নাগরিক নিহত হন।
সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাফিজকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। শুক্রবার কোনো শ্রমিক কাজে যোগ দেননি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে শ্রমিকদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।
এলাকায় ৮ প্লাটুন বিজিবি এবং পুলিশ, র্যাব ও রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) ৮৫০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।